মাে. এমরান আলী রানা, সিংড়া (নাটাের):
দেশের দ্বিতীয় বহত্তম ও মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল এসেছে বর্ষার নতুন পানি। পানি আসার সাথে সাথে মা মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন জেলেরা।
নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে তারা। তবে এই মা এবং ডিমওয়ালা মাছ নিধন বন্ধ স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী প্রদক্ষপ না নিলে আগামী দিনে চলনবিল মাছ উৎপাদন বড় ধরনর সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারনা বিশষজ্ঞদের।
নাটাের, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের সর্ববহৎ বিলাঞ্চল এখন চলেছে অবাধে নানা উপায়ে মা মাছ শিকার। আর এক শ্রণীর অসাধু জেলেরা বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই ও কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয় দিন ও রাত মা মাছ শিকার করে হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও দেখার কেউ নেই। গত এক সপ্তাহ চলনবিলর চাটমাহর, ভাঙ্গুড়া, গুরুদাসপুর, সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন নদী ও খাল বন্যার পানি আসায় বিভিন হাট বাজার, তাড়াশ ও সিংড়া মৎস্য আড়তে দেখা গেছে ডিমে পেট ভরপুর টংরা, পাতাসী, পুটি, মলা, বায়াল, শাল, মাগুড়সহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত জুন-জুলাই মাস ডিম ছাড়ে মা মাছগুলাে। বর্ষা শুরু হলেই চলনবিলের মাছগুলাে ডিম ফুটাতে থাকে। কিন্তু এই সময়টাতে মাছ ধরা একবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালর মৎস্য আইন অনুযাযী ডিম এবং মা মাছগুলা শিকার আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বিলে পানি আসার সাথে সাথে মাছ শিকারে নেমে পড়েন জেলেরা। এতে করে জেলেদের জালে ধরা পড়ে নষ্ট হচ্ছে ডিমগুলা।
চলনবিলের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত প্রতি কেজি ট্যাংরা ৭’শ টাকা, পাতাসী ১২’শ টাকা, মলা ৫’শ টাকা, বােয়াল ১ হাজার টাকা, শিং মাছ ৭’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলার মৎস্য অভয়াশ্রম দহ, জাড়মল্লিকা, নিংগইন, কতুয়াবাড়ি, সােহাগবাড়ি, সাঁতপুকুরিয়া, বিয়াশ, ডাহিয়া, নুরপুর ও আত্রাই নদী এবং বিলের বিভিন্ন পয়েন্ট বাদাই, কারেন্ট, খারা জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিম ভরপুর ট্যাংরা, পাতাসী, পুঁটি, মলা, বােয়াল, শিংসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ প্রকাশ্যে নিধন করছেন একশ্রেণির অসাধু জেলে।
সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ওয়ালিউল্লাহ মােল্লা বলেন, বিলে নতুন পানি আসার কারণে কিছু অসাধু জেলেরা মা মাছগুলা শিকার করেছে। আমরা প্রথমে মাইকিং এরপর অভিযান শুরু করবাে। চলনবিলে মা মাছ রক্ষার কােন বিকল্প নেই।
Leave a Reply